দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান, প্লিজ

আমাদের কলেজের দুইটা ভবন। একটা ১০ তলা আর অন্যটি ১৪ তলা। আমাদের ক্লাস হয় ১০ তলা ভবনের নয় তলায়। কিন্তু নিরিবিলি আড্ডা দেওয়ার জন্য প্রতিদিনই ১৪ তলায় যাই। এই ভবনের ১০ তলার বারান্দায় আমাদের আড্ডা চলে।

দিন কয়েক আগেও এক টিফিনের সময় আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম একজন শিক্ষক বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করছেন। তাকে দেখে আমরা বিচলিত হয়নি। কারণ আমরা তো কাউকে বিরক্ত করছিলাম না।

কিন্তু তিনি আমাদের দিকেই আসছেন দেখে একটু ভয় পেলাম। তিনি এসেই আমাদের সেকশন নম্বর, ক্লাস রুম কত তলায় এসব জিজ্ঞেস করলেন।

তারপর হঠাৎ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "এখানে মিটিং করতেছো নাকি?"

আমরা জানালাম, এখানে দাঁড়িয়ে আমরা গল্প করছি, মিটিং না।

তার চেহারা দেখে মনে হল তিনি আমাদের কথা বিশ্বাস করেননি। তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "তুই কী হিজবুত তাহেরি করিস নাকি? এদেরকেও উদ্বুদ্ধ করতেছিস মনে হয়।

"এখন তো কাউকেই বিশ্বাস নেই।"

আমি স্যার এর কথা শুনে এতটাই অবাক হলাম যে, কী বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

আমার বন্ধুরা স্যারকে বোঝাতে চেষ্টা করল আসলে এমন কোনো ব্যাপার নেই।  আমরা এমনিতেই এখানে বসে আছি।

আরও খারাপ লাগলো যখন তিনি ফোন বের করে আমার ও আইডি কার্ডের ছবি তুললেন। তারপর তিনি চলে গেলেন।

আমার চুল একটু বড় ছিল, দাঁড়িও। চুল কাটবো কাটবো করে কাটা হচ্ছিল না। তাই হয়তো উনি এমন ধারণা করেছেন। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে খুব আঘাত দেয়।

স্যারের কথা হয়তো ঠিক। আজকাল কাউকে বিশ্বাস করা কঠিন। তাই বলে যাচাই বাছাই ছাড়া কারো সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা একেবারেই অযৌক্তিক।

শুধুমাত্র কারো বাইরের চেহারা দেখে তাকে বিচার করা উচিত নয়। কারণ বাইরের দিকটা চাইলেই আমি বদলে দিতে পারি। দরকার দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com