'ঘুঁচছে গোঁড়ামি'

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। আমার মনে হয় কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞতা কমে এসেছে অনেকটা। রুচিবোধ আর জীবনমানেও লেগেছে আলোর ছোঁয়া।

ছোটবেলা দেখতাম কিছু হলেই লোকে ঝাড়ফুঁক করত। কিন্তু এখন তেমন চোখে পড়ে না। মানে আমরা এগুচ্ছি।

ইতিবাচক দৃষ্টিতে তাকালেই আমরা তা দেখতে পাবো।

নারীকে উত্যক্ত করা, লিঙ্গ বৈষম্য, নারী অশিক্ষা, বাল্য বিয়ে, যৌতুকসহ নানা অপরাধ তুলনামূলকভাবে কমে গেছে। সংখ্যায় অনেক কম। কিন্তু পরিবর্তন তো হচ্ছে নৈতিকতার।

আগে বাসে উঠে লোকজন ধূমপান করতেন। অন্যের সমস্যাকে আমলে নিতে দেখিনি। কিন্তু এখন আর বাসে কাউকে ধূমপান করতে দেখা যায় না। মানুষ বুঝতে শিখছে অন্যের অসুবিধা।

নানা বেড়াজালে আটকে থাকছে না নারী শিক্ষা। নিজ পায়ে দাঁড়ানোকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সবার আগে। 

সন্তান জন্মের পর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন বাবা মা। বস্তিতে বসবাস করে কিন্তু স্কুলে যায় এমন শিশুও আছে। সন্তানের শিক্ষার ব্যবস্থা করছেন। বাল্য বিয়েতেও এখন রাজি হচ্ছেন না অনেকে।

সবাই বুঝে গেছেন ‘মুখ দিয়েছেন যে, খাবার দিবেন সে’ প্রবাদটি এখন অর্থহীন। তাই ছোট পরিবারেই সুখি থাকছেন মানুষগুলো।

 শিশুরা মূল্যায়িত হচ্ছে। শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য তৈরি হচ্ছে নানা মাধ্যম। গান, নাচ, সৃজনশীলতা, দেশ-সমাজ পরিবর্তন সব ক্ষেত্রেই শিশুরা অবদান রাখছে। তাদের সে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

নারী মুক্তি পেয়েছে। ঘর, পরিবার, বাদেও শিক্ষাঙ্গন, সিংহাসন, কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম, কিংবা গণজাগরণেও রয়েছে নারীর সরব অবস্থান। নারী লিখছে, বলছে, প্রতিবাদ করছে।

একে একে আরও বদলাবে আমি নিশ্চিত। এবার উচিত একটু একটু করে নিজেদের বদলানো। একজন বদলে সমাজ বদলে দেওয়া যাবে না। তাই নিজের জায়গা থেকে বদলাতে হবে সবাইকে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com