বয়স বড় জোর নয় দশ হবে। মনমরা হয়ে একলা বসে আছে। তার পাশেই বসে পড়লাম। ওর বাবার নাম রোকন মিয়া আর মায়ের নাম আসমা বেগম। বাবা মা গ্রামেই থাকেন। গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার নন্দীপুরের কোনা পাড়ায়। দাদি তাকে একটা কাজে লাগানোর জন্য সাথে করে ঢাকা এনেছেন।
সারাদিন শসা বেচে প্রেস ক্লাবের যাত্রী ছাউনীতে রাতে ঘুমায়। মাঝে মাঝে টোকাইয়ের কাজও করে।
ঢাকা আসার আগে সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
“যেরার ট্যাকা পইসা আছে হেরা স্কুলে পড়তারে। আমাগো ট্যাকা পয়সা নাই গরিব মানুষ, পড়লে খামু কিদ্দা?
“শসা বেইচ্চা চলতারি না। কষ্ট বিষ্ট কইরা চলি।”
সকালে রুটি খেয়ে বেরিয়েছে। দুপুরে এক কাপ চা আর একটা বিস্কুট। এভাবেই টাকা বাঁচিয়ে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয়। আজ শসা কেনার টাকা নাই তাই পার্কে বসে আছে।
খাওয়ার অভাবের কারণেই হয়তো বড় হয়ে আরিফ হোটেলের মালিক হতে চায়।