মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে গান শুনতে ভালোবাসে সে। যে গানটা শুনবে খানিক পরে সেটা নিজেই গুনগুন করে গাইতে থাকবে। আধো আধো বোলে ওর গান শুনতে বেশ মিষ্টি লাগে।
আমরা যখন পড়তে বসি ও আমাদের পাশে বই নিয়ে বসে পড়ে। আঁকাআঁকিতেও তার বেশ আগ্রহ। কেউ যদি তার বই, পেন্সিল বা রঙে হাত দেয় তাহলে তার রক্ষা নাই। চেঁচিয়ে গোটা বাড়ি মাথায় তুলবে।
খুবই দুষ্ট আর চঞ্চল ও। বাড়ির এ মাথা ও মাথা টইটই করে বেড়ায়। কখনও স্থির থাকে না। ছোট্ট প্রতীক আমাদের বাড়িটাকে আনন্দে ভরিয়ে রাখে। আমাদের সময় কাটে ওর সঙ্গে খেলে।
ও বাড়ি না থাকলে গোটা বাড়ি নিরব হয়ে যায়। ওকে ছাড়া একটা দিনও ভাবা যায় না।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। বাড়ির উঠোনে প্রতীককে দেখতে না পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম।
আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম কারণ প্রতীকের জলের প্রতি আকর্ষণ আছে। জল পেলেই ছিটাতে শুরু করে দেয়। ভাবলাম পুকুরে পড়ে গেল কিনা। ভাবতেই আমার আত্মারাম খাঁচা ছাড়া।
দৌড়ে বাড়ির সামনের পুকুরে পৌঁছে গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। ঘাটের একেবারে কিনারে বসে প্রতীক হাসছে আর জল নিয়ে খেলছে। আর একটু এগোলে বা আমরা আসতে একটু দেরি করলেই ও পুকুরে পড়ে যেত।
এরপর থেকে ওকে আমরা চোখে চোখেই রাখি। কারণ কিছুক্ষণের অসাবধানতায় শেষ হয়ে যেতে পারে অনেক কিছু।