ধরাবাঁধা শিক্ষা ব্যবস্থা দূর হোক

মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই থরে থরে সাজানো ‘শিক্ষার দোকান’ দেখে। প্রাইভেট পড়া, কোচিং হোম,  এগুলোকে আমার এখন শিক্ষা কেনা-বেচার দোকান মনে হয়।

শিক্ষা ছাড়া ভবিষ্যৎ অন্ধকার, জীবন অচল, এমনটাই শুনে এসেছি ছোটবেলা থেকে। শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে নিতে। বর্তমান প্রজন্মকে সেই আলোর দিকে পৌঁছে দিতে  অভিভাবকদের চেষ্টার কমতি নেই।

কিন্তু এই বাড়তি শিক্ষার সুযোগ তো সবার নাগালে নাই!

একটি শিশু যখন তিন বছরে পা দেয় তখন থেকেই তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো শুরু করেন অনেক মা বাবা। আর তারও আগে থেকেই অনেক পরিবারে পড়ানো শুরু হয়। ছয়/সাত বছরেই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও বাড়তি শিক্ষার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে হয়। তাকে পাঠানো হয় কোচিং হোম ইত্যাদিতে।

সেখানকার ও বাড়ির প্রাইভেট শিক্ষকের হাত ধরেই শুরু হয় শিশুর জ্ঞান চর্চার যাত্রা। বাবা-মা মনে করেন, এভাবেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে তাদের সন্তানেরা।  

অন্যদের মতো আমাকেও ভোর না হতেই ছুটতে হয় স্যারের বাসায়, কোচিং হোমে।    

মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য আমি। বাড়তি শিক্ষার জন্য একের পর এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে আসছি সেই ছোট বয়স থেকে। আর এই খরচ জোগাতে বাবা মা হিমশিম খান অনেক সময়। তবুও তারা আমার মঙ্গলের কথা ভেবে খুশি মনে মেনে নেন সব কষ্ট। কিন্তু শুধু এতেই কি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারবো?   

আর যে পরিবারের অভিভাবক স্কুল কলেজের খরচ যোগান দিতেই হিমশিম খান, তারা কীভাবে এই খরচ চালাবেন?

আমার ভাবনা অন্যরকম। এসব গতানুগতিক শিক্ষা বা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা তাকে সনদ পেতে সাহায্য করে, স্ব-শিক্ষিত করে না। কারণ সিলেবাসের বাইরেও আছে অনেক জানা শোনার জগত।     

মুক্তি চাই এ ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে, যা সবার নাগালে নেই।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com