বাঙালিরা ক্রিকেটারদের যতটা ভালোবাসে অন্য কোন দেশে এমন হয় কিনা আমার জানা নেই। তাই এই টাইগারদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ করে তখন তা মেনে নেওয়া কষ্টের হয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনলাম শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে ফাস্ট বোলার শাহদাত হোসেনকে খুঁজছে পুলিশ। খবরটা শুনে আমি খানিকটা হতভম্ব হয়ে গেলাম। খুব কষ্টও পেলাম। শুনলাম ওই গৃহকর্মীর সারা শরীরে জখমের দাগ রয়েছে।
যাকে এতো শ্রদ্ধা করতাম, ভালবাসতাম তার এমন কাজ মেনে নেওয়াটা খুব কষ্টের। তাও আবার এই কাজটি তিনি করেছেন আমারই বয়সী এক শিশুর সঙ্গে।
একদিন আগেও যিনি আমার কাছে ছিলেন ওয়ান ডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাট্রিক করা বোলার, লর্ডসে অনার বোর্ডে নাম লেখানো বাংলাদেশি পেসার, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি আমার কাছে হয়ে গেলেন শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত আসামী। কী অদ্ভুত!
আমার জানামতে আইনের মাপকাঠিতে সবাই সমান। তাই অভিযুক্ত শাহাদাত ও তার স্ত্রীকে যেন আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। শুধু তিনিই নন, যারা শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে আইনের মুখোমুখি না করা হলে শিশু নির্যাতন বাড়তেই থাকবে।
শিশু নির্যাতন নিয়ে পুরো সমাজ এখন আতঙ্কিত। কিছুদিন পরপরই শোনা যায় শিশু নির্যাতনের খবর। আর নরপিশাচদের পাশাপাশি সমাজের বরেণ্য ব্যক্তিরা, আইকনরাও যদি শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত হন তাহলে দেশটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
বারবার আমার মনে প্রশ্ন জাগছে আমরা কী অন্ধকার যুগে বসবাস করছি? তা না হলে মানুষের বিবেকের এমন পতন কেন?
সমাজের উঁচু থেকে নিচু শ্রেণি পর্যন্ত সব জায়গাতেই যদি শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয় তাহলে এদেশকে তো শিশুদের বসবাসের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া এমন ঘটনা দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে বলে আমার মনে হয়।