সাংবাদিকতার রঙিন অভিজ্ঞতা

হ্যালোতে শুধু শিশুদের লেখা খবর ছাপানো হয় ভেবেই খুব অবাক হতাম। কারণ শিশুদের এতোটা গুরুত্ব আমি অন্য কোথাও দেখিনি।

এখানে লেখা পড়তে পড়তে একদিন আগ্রহ জাগল সাংবাদিকতার। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংবাদ পাঠাতে শুরু করি হ্যালোতে। 
 

অনেকের কাছেই শুনেছি যে সাংবাদিকতা করার জন্য স্কুল বা তাদের পরিবার এমনকি আত্মীয়রা খারাপ চোখে দেখেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এ অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি সাংবাদিকতা করি এ কথা যারাই জেনেছেন, তারাই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমার দাদার নামটাই সবার আগে থাকবে।

সংবাদ গ্রহণ বা সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় কিছু মিষ্টি অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তিক্ত অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার।

অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না আমি সাংবাদিক। প্রশ্ন তোলে এত ছোট বয়সে সাংবাদিক! কীভাবে?

অনেকেই আবার খুব সুন্দর করে অভিবাদন জানিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বা সংবাদ লিখতে গিয়ে জানতে পেরেছি অনেক কিছু। পেয়েছি উৎসাহও।

তবে অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজার হলো 'আমার কথা আমাদের কথা' বইটির মোড়ক অনুষ্ঠানের। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সাথে কথা হয় সেদিন। সাক্ষাৎকারও নিই। দেখা হয় আরো অনেক শিশু সাংবাদিকের সাথে। 

অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করে, কেউ গান শেখে, কেউ নাচ। এগুলো ছেড়ে সাংবাদিকতায় কেন?

সত্যি বলতে আমাদের দেশের পত্রিকাগুলোতে শিশুদের জন্য বরাদ্দ থাকে সপ্তাহে একটি বা দুটি পাতা। কিন্তু হ্যালোতে বছরের ৩৬৫ দিনই শিশুদের জন্য। গণমাধ্যমে শিশুদের কথা বলার সুযোগ খুব কম। কিন্তু হ্যালোতে শিশুরা তাদের ভাবনার কথা বলে, তুলে ধরে সমাজের অনেক সমস্যার কথা। কখনো পুরোদস্তুর নিয়ম মেনে সাংবাদিকতা, কখনো নিজের অভিজ্ঞতা অকপটে বলে ফেলা। সবকিছুরই সুযোগ আছে হ্যালোতে। এ কারণেই সাংবাদিকতা বেছে নেয়া। পাশাপাশি লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা তো আছেই।

শিশু সাংবাদিকদের অনেকের আছে অনেক ধরণের লক্ষ্য। কিন্তু আমি চাই সাংবাদিকতা করতে। এছাড়া খেলাধুলা ভালো লাগে বলে বড় হয়ে ক্রীড়া সাংবাদিক হওয়াই আমার ইচ্ছা।

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com