জেএসসি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় অনেকের কাছে নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। বাবা-মার বকাবকির জবাবেও চুপ করে ছিলাম। আমার কথা তো কেউ শুনতে চায়নি।
সে অনুভূতি কেমন ছিল তা বোঝানো অনেক কষ্টকর। তখন অনেক মানুষকে নতুন করে চিনেছি। এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা শুধু সুসময়ের বন্ধু আবার কিছু মানুষ দেখেছি যারা সবসময় সাথে ছিল।
কিছু মানুষ এখন পর্যন্ত সব কিছুতেই অনুপ্রেরণা দেয়। আমার বড় ভাই তাদের মধ্যে একজন। যখন বাবা মা বিরোধিতা করে তখনও সে আমার পক্ষেই থাকে।
জেএসসির পরে নিজেকে গোছানোর পালা ছিল। অনেক কিছু প্রমাণ করার পালা ছিল। আর যেদিন এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিল সেই দিন ছিল আমার জীবনের অন্যতম খুশির দিন। নিন্দুকদের জবাব দেয়ার দিন।
হরতাল আর টানা অবরোধে এসএসসি পরীক্ষা এবার আমরা কত কষ্টে দিয়েছি তা আমরাই জানি। কিন্তু আমার জন্য আরেকটি অভিজ্ঞতাও যোগ হয়েছিল সেই সময়।
সেই সময়েইএ আমি হ্যালোতে যোগ দিয়েছিলাম। হ্যালোতে প্রথম দিনই লেখা ছেপেছিল বলে যা খুশি হয়েছিলাম তা বলে বোঝানো মুশকিল।
কিন্তু হ্যালো থেকে আমাকে বলা হলো, পরীক্ষার সময় লেখাপড়া ছাড়া আর কোনো কাজ নয়। পরীক্ষা ভালোভাবে দিয়ে আমি যেন খুব ভালো রেজাল্ট করে তবেই সেটা নিয়ে নিউজ পাঠাই।
তারপরও বেশ কটা প্রতিবেদন লিখে পাঠিয়েছিলাম। আর এতে করে আমার পরীক্ষার ওপর কোন খারাপ প্রভাব পড়েনি বরং অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
শেষমেষ, এসএসসি পরীক্ষায় সবগুলো বিষয়ে আলাদা করে ৮০ নম্বরের বেশি করে পেয়ে পাশ করেছি। শুধু তাই নয়, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে যে কলেজটি সেরার সেরা সেই রাজশাহী সরকারি কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ পেয়েছি।
আমার স্বপ্ন, মানুষ হবার সাথে সাথে একজন বিজ্ঞানী হওয়া। আর সাংবাদিকতা করতে চাই যেন নিজেকে বর্তমানের সাথে আপডেটেড রাখতে পারি।