অন্যকে সাহায্য করে আনন্দ পাই

ছোটবেলা থেকেই আমি লিখতে ভালোবাসি। যখন অবসর সময়ে কিছু করতে ভালো লাগে না, তখন মনে যা আসে সেটাই লিখতে বসি।

তাছাড়া সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের দিকেও আমার অনেক আগ্রহ। অন্যকে সাহায্য করা, তাদের হয়ে কাজ করার মধ্যে আমি আনন্দ খুঁজে পাই। কাজগুলো করতে আমার মন থেকেই ভাল লাগে এবং আমি সবসময় এ ধরণের কাজে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি।

আর এই কাজগুলো যদি হয় শিশুদের নিয়ে, তাহলে তো আর কথাই নাই। এমন অনেক
কর্মকাণ্ড এবং সংগঠনের সাথে আমি ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি।

আর ‘হ্যালো' শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য আমাকে অনেক বড় একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যি খুশি।

সুযোগ পেলেও কিছু অসুবিধা ছিল। কারণ ‘হ্যালোতে' লেখা পাঠাতে মেইল করতে হয়। কিন্তু আমার তখনও কোনো কম্পিউটার ছিল না। তাই মন খারাপ হত।

তবে কিছু দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধানও হয়ে গেল। হঠাৎ আমার বাবার পুরাতন মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেল। তাই বাবা আমার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত একটা স্মার্টফোনই কিনে নিল। তখন আর আমার খুশি দেখে কে। শুরু করলাম ‘হ্যালো’তে সাংবাদিকতা।

তবে সারাদিনে শুধুমাত্র বিকালে ১০/১৫ মিনিট এবং রাতে বাবাকে বাসায় পেতাম। তাই বিকালে কোচিং থেকে ফিরে এবং রাতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকেই হ্যালোতে কাজ করে যেতাম।

তবে বেশিরভাগ সময় বাবা ব্যস্ত থাকার কারণে সুযোগই পেতাম না। এজন্য মাঝে মাঝে একটু কষ্ট হত। তবে আমার লেখা ছাপানো হলে সে কষ্ট আর থাকতো না।

এখন আমার আর সেই কষ্টও নেই। কারণ এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি। তাই বাবা আমাকে নতুন ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন।

এখন আমি যখন খুশি লেখা পাঠাতে পারবো। এবার আমার ইচ্ছা ও স্বপ্নগুলো নতুন ডানা পেল, উড়ে দেখার জন্য।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com