আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। যেদিন হ্যালোর ঢাকা অফিস থেকে ফোন করে হ্যালো উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানালো সেদিন থেকে মনে হয় দিনগুলো পার হচ্ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল কবে ১৯ এপ্রিল আসবে? আর আমি প্রোগ্রামে যেতে পারবো?
অবশেষে রোববার আমার সেই বিশেষ দিনটি ক্ষণিকের জন্য এসে আবার চলে গেল।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে সেলফি তোলা, অটোগ্রাফ নেওয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সাথে পরিচয় শেষে ছবি তোলা এসব স্মৃতি আমার কাছে স্বপ্নের মত লাগছে।
যাদের সাথে কোন দিন দেখা হয়নি কিন্তু ফোনে অনেক সময় কোন কোন লেখার কিছু ভুলের জন্য মিষ্টি গলায় বকা খেয়েছি আবার পরামর্শও পেয়েছি সেই মহুয়া আপু আর প্লেটো ভাইয়ার সাথে ছবি তোলা, গল্প করা আমার স্মৃতিতে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
বিডি নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমের সাংবাদিক কাজী শাহরিন হক আপুর সাথে সাংবাদিকতার নানা দিক নিয়ে আলাপচারিতা আমার আগামীদিনের সাংবাদিকতায় অনেক কাজে দেবে।
হ্যালোতে কাজ করার সুবাদে ঢাকার আরেক শিশু সাংবাদিক ভাইয়া সজিবুল ইসলাম সজীব, আমি ঠাকুরগাঁও থেকে আসছি জেনে ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঢাকা বাস কাউন্টারে এসে আমাকে রিসিভ করে তার বাসায় নিয়ে যান।
পরে আমরা একসাথে হোটেল রেডিসনের শতাধিক শিশুসাংবাদিকদের সাথে উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আবার অনুষ্ঠান শেষে যখন আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে এসে জড়িয়ে ধরে বলেন, “হৃদয় আজকে থেকে যাও। খুব খারাপ লাগছে, তুমি চলে যাচ্ছ।”
আমারও খুব খারাপ লাগলো তাকে ছেড়ে চলে আসতে। আমি বাসায় পৌঁছালাম কিনা তাও সকালে ফোন করে জেনে নেন।
অল্প সময়ের প্রথম পরিচয়ে যেন আমরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসায় বাঁধনে আটকে পড়েছি। হ্যালো আমাদের সেই আত্মীয়তার বাঁধনে বেঁধেছে, যা অন্য অনেক সম্পর্কের চেয়ে দামি।
সবশেষে বলবো, হ্যালোর অনুষ্ঠানটি যেন ছিল আমাদের সারা দেশের শিশু সাংবাদিকদের মিলনমেলা।