এখনকার পড়াশোনা একবারেই প্রতিযোগিতামূলক। তাই আমি এটাকে পড়াশোনা না বলে দৌড় প্রতিযোগিতা বলি।
'তার বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চার ভালো করতেই হবে'- বাবা মার এই মানসিকতার জন্য কত সন্তান যে অমানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে পার করে তার শিক্ষা জীবন তার হিসেব নেই।
যদি কেউ কোনো পরীক্ষায় ভালো করতে না পারে তবে তাকে শুনতে হয়,'তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না।' এই মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি অনেক বাড়িতেই চলে শারীরিক নির্যাতনও।
কিন্তু এটা মোটেও উচিৎ নয়। পড়া কম পারা বা ভালো রেজাল্ট করতে না পারাটা কোনো দোষের না। বরং এসময় তাকে একটু উৎসাহ দিতে হবে। এমনিতেই পরীক্ষায় খারাপ করার ফলে তা মনে অবস্থা ভালো থাকে না। এরপরে যদি তাকে আরও বকাবকি শুনতে হয় তাহলে সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। এতে করে সে হতাশায় ভুগতে শুরু করবে। তার পাশে থাকতে হবে যাতে সে তার পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে ভালো করার চেষ্টা করে। এভাবে পাশে থাকলেই সে ভালো কিছু করতে পারবে।
শুধু বাচ্চার পরীক্ষার ভালো ফল প্রমাণ করে না যে আপনি একজন সচেতন বাবা বা মা। সন্তানের বন্ধু হয়ে পাশে থাকুন। পড়ালেখার ব্যাপারে সচেতনতার পাশাপাশি বাচ্চা আদৌ এতো চাপ সহ্য করতে পারছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখুন।