এজন্যই যুগে যুগে মেয়েদের প্রতি অসম্মান করেই আসছে সমাজ। আমার বয়সী কিশোরীরা প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়। তাতে দেখার কেউ নেই। এজন্য অনেক মেয়েই মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য অনেক সংগঠন অনেক কিছু করে। আদৌ তারা কতটুকু সফল তা আমার জানা নেই।
সমাজের সাদা চামড়ার মেয়েদের যতটুকু মূল্য দেয়া হয় কালোদের তাও দেয়া হয়না। এজন্য মেয়েটাকে অনেকেরই অনেক কথা শুনতে হয়। এমনকি নিজের পরিবারও ছাড় দেয় না। তাদের ধারণা হয় মেয়েটাকে বিয়ে দিতে পারবে না। আরও অনেক কিছুই।
কখনও ভাবেনা এই মেয়েটাও অনেক কিছুই করতে পারে। তারা বোঝে না যে একটি ছেলের মতো একটি মেয়েও দেশের জন্য, সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য অনেক কিছু করতে পারে।
এই সমাজে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য খুব একটা টাকা পয়সা খরচ করা হয় না। একই পরিবারের ছেলেকে দুই তিনটা স্যার রেখে পড়ালেও মেয়েদের ক্ষেত্রে তেমন দেখা যায় না।
আবার অনেক মেয়েই স্কুলে বা কলেজে যাওয়ার পথে ইভটিজিং এর স্বীকার হয়। এতে দোষ এসে পড়ে মেয়েটার উপর। অনেক সময় এ কারণে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় বা লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
গ্রাম বা শহর সব জায়গাতেই চলে মেয়ের অসম্মান। আবার দেখা যায় এসএসসি পাশ করার পর মেয়েদের আর পড়তে দেওয়া হয়না।
যদি কোনো মেয়েকে সাইকেল বা স্কুটার চালাতে দেখা যায় অনেকেই চোখ বড় করে তাকায়। তাদেরকে কে বোঝাবে মেয়েটাও মানুষ তারও স্বাধীনতা চাই। তারাও ছেলেদের চেয়ে কম অংশে কম নয়।