ওর এমন অবস্থা হল যে নবম শ্রেণি থেকে আর আমাদের সাথে দশম শ্রেণিতে উঠতে পারল না। যদিও সে এর আগে ভালো ছাত্রী ছিল। ধরা যাক ওর নাম ফারিয়া।
ওর মতো আমার আরও এক বন্ধু ধরি ওর নাম অদিত। ওর ঘটনাও ফারিয়ার মতোই। আসলে এসব আমাদের জীবনে রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।শুধু অদিত বা ফারিয়া নয় এমন গল্প অনেকেরই আছে।
না জেনেই এদের অনেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। যার ফল কয়েক মাসেই ব্রেক-আপ। যা আমার বয়সী একজনের জন্য সহ্য করা খুবই কঠিন।
বেশিরভাগ টিনএজার দিনে ১০/১২ ঘণ্টা অনলাইন থাকে। সারা রাত না ঘুমিয়ে চালায় ফেইসবুক। ফলে মেজাজ থাকে খিটখিটে।
আমাদের সবারই কম বেশি ফেইসবুকের প্রতি আগ্রহ আছে। যাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট আছে তাদের সারা দিনে একবার লগ-ইন না করলে চলেই না।
তবে অতিরিক্ত ফেইসবুক আসক্তি আমাদের বিষাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে। আমি ও আমার বন্ধুরা অনেকেই এই সমস্যায় কম বেশি পড়েছি।
এই আসক্তির ফলে আমাদের গল্পের বই পড়ার প্রবণতা কমে গেছে। পাঠ্যবই তো দূরের কথা। পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি আমাদের শারীরিক ক্ষতিও হচ্ছে। মানসিক ক্ষতিও কম হচ্ছে না।
ফেইস বুকের ফাঁদ পাতা ভূবনে ভুলে অনেকেই অবশেষে ঝুঁকে পড়ছে নেশার জগতেও।