অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউজ

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে পার্লামেন্ট হাউজ। এটি ফেডারেল পার্লামেন্টের অংশ।

এ পার্লামেন্ট হাউজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শহরের বিভিন্ন স্থাপনা। এর সামনে  দাঁড়ালে সোজা দেখা যায় পুরনো পার্লামেন্ট হাউজ ও ওয়ার মেমোরিয়াল।

এটি তিনটি সমান্তরাল রেখায় তৈরি ও বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কৃত্তিম লেকও তৈরি করা হয়েছে ক্যানবেরাতে।

পার্লামেন্ট হাউজের ভেতরে প্রবেশ করে জানা গেল, ক্যানবেরা অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় রাজধানী। এর আগে সিডনী ও মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর প্রতিনিধিত্ব করেন গভর্নর জেনারেল। এছাড়া সংসদে দুটি কক্ষ রয়েছে। একটি হলো হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আর উচ্চ কক্ষটি  সিনেট।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ চেম্বার সবুজ রঙের আর হোম অব সিনেটর চেম্বারের রঙ লাল।

প্রধানমন্ত্রী ও সব মন্ত্রীদের অফিস মিনিস্ট্রিয়াল উইং হাউজে। আপার হাউজে ৭৬ জন সদস্য রয়েছে। এক একটি স্টেটের জন্য ১২ জন করে প্রতিনিধি কাজ করে থাকেন। নর্দান টেরিটরি ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপিটাল টেরিটরির জন্য দুইজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ ১৫০ জন।  এরা প্রত্যেক ডিস্ট্রিক রিপ্রেজেন্ট করে।

পার্লামেন্টে এখন ৪৪তম ফেডারেল পার্লামেন্ট অব দ্য ফেডারেশন চলছে। সিনেটররা  হাউজ অব রিপ্রেজেন্টটিভদের ভোটে নির্বাচিত হন। আর তারা নির্বাচিত হন জনগণের ভোটে।

২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এ ভোট হয়েছিলো। তাতে ১৫০ টির মধ্যে ৯০ টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে লিবারেল/ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

লেবার পার্টি এর আগে ক্ষমাসীন থাকলেও এখন তারা বিরোধি দল। তাদের আসন ৫০টি। এছাড়া তিনটি দলের তিন জন সদস্য রয়েছে। আর স্বতন্ত্র রয়েছে আরো দুইজন।

অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটও সংসদ ভবনেই অফিস করেন। তবে সব সময় তিনি রাজধানীতে থাকেন না। তিনি স্টেট নিউ সাউথ ওয়েলসে বেশিরভাগ সময় থাকেন। মাঝেমাঝে কোন কাজে আসেন।

তার ক্যানবেরার বাড়িতেও তিনি থাকেন না। সেখানেও যাওয়ার পর দেখা গেল বাড়িটির সংস্কার কাজ চলছে। বিশেষ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের সুবিধা হলো এটি দেশ বিদেশের সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন দেখতে পারেন সব কিছুই।

অস্ট্রেলিয়াতে শিশুদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলার জন্য আইন প্রনয়ন করা হয়েছে।

আর এগুলো কোথায় করে কিভাবে করে এই সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য তাদেরকে সংসদ ভবনে নিয়ে আসা হয়। এটা তাদের স্কুলের লেখা পড়ার একটি অংশ।

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে সিনেট সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী। তারা চাইলে যে কোন আইন নাও পাস করতে পারে। সেখানে তমুল তর্ক বিতর্কও হয়।  

পার্লামেন্টে স্পিকার বসেন মাঝখানে উপরের একটি চেয়ারে। আর এর সামনে ছোট টেবিল দেয়া হয়েছে। তার একটিতে বসেন প্রধানমন্ত্রী আর একটিতে বিরোধী দলের নেতা।

তার সামনেই বসার ব্যবস্থা করা হয় তাদের দুই জন প্রতিনিধিকে। যারা তাদেরকে সহায়তা করবেন। অন্য সদস্যরা বসেন সামনের আসনে।

এছাড়া দোতলার আসনগুলোতে আমন্ত্রিত দর্শকরা ও অন্যান্যরা থাকেন।

অস্ট্রেলিয়ানরা এখনও ইংল্যান্ডের অধিনস্ত। তবে তারা স্বাধীনভাবেই সব কিছু করতে পারছে।

তারা স্বাধীন হওয়ার জন্য একবার গণভোট করেছিল ওই ভোটে ইংল্যান্ডের অধিন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বেশিরভাগ জনগন ভোট দেয়নি তাই তা আর হয়নি। 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com