ইউনিসেফের উদ্যোগে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে নেপাল সম্মেলনে যোগ দেয় ওরা দুইজন।
সফর শেষে ওদের ফেরার পর দিন, ১৬ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকের শিশু সাংবাদিক গ্রুপ থেকে জানতে পারলাম, পৃথা ও নাসির তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। আর এ উপলক্ষে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকদের নিয়ে হ্যালোর ফেইসবুক পেজে সেটা লাইভ করা হবে।
বাড়িতে ঢাকায় যাবার অনুমতি নিয়ে হ্যালোর অফিসে জানালাম, আমি সভায় যাব।
এরপর আমি ঢাকার শিশু সাংবাদিক শরফুদ্দিন ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করে সভার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম, সভা বিকাল ৪টায় শুরু হবে। তিনি আমাকে সকালের বাসে আসার পরামর্শ দেন।
১৭ তারিখ সকাল ৫.৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যাই। সেখান থেকে সোজা মোহম্মাদপুর, আরেক শিশু সাংবাদিক আমিনুর রহমান হৃদয় ভাইয়ার বাসায়।
দুপুরের খাবার শেষে একটু বিশ্রাম নিয়েই আমরা মোহাম্মদপুর থেকেই হ্যালোর ঠাকুরগাঁও থেকে সভায় যোগ দিতে আসা রহিম শুভ ভাইয়াসহ তিনজন মিলে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সাড়ে তিনটার মধ্যে আমরা পৌঁছে যাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম অফিসে।
তারপর অফিসে গিয়ে প্রথমে দেখা হলো টাঙ্গাইলের শেখ নাসিরের সাথে। তার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাতেই একে একে সবাই চলে এল। হ্যালোর নির্বাহী সম্পাদক প্লেটো দাদাও এসে হাজির হলেন।
এরপর সভা শুরু হলো। সবাই খুব উপভোগ করলাম। আর পৃথা ও নাসিরের নেপাল সফরের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, তাদের বিভিন্ন প্রোজেক্ট নিয়ে গল্প শুনলাম। শুনলাম তাদের বিদেশি বন্ধুদের কথা। সভা শেষে সবাই মিলে ছবি তুলেছি। পুরো অফিস ঘুরে দেখেছি।
এরপর যার যার বাড়ি ফেরা। হৃদয় ভাই ও শুভ ভাই আমাকে গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে বিদায় দিয়ে চলে গেলেন। শেষ রাতের দিকে বাসায় পৌঁছালাম।
সব মিলিয়ে আমার কাছে প্রথমবার হ্যালোর অফিস ভ্রমণ প্রিয় দিনগুলোর মধ্যে একটি।