বাড়ির সামনে, রাস্তার ওপর বধ করা কোরবানির পশুর রক্ত, আবর্জনা ও দুর্গন্ধে দম আটকে আসে।
এবারে ঢাকা সিটি কপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় পশু জবাইয়ের প্রচার প্রচারণা দেখে মনে কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল। ভেবেছিলাম অন্তত এবার হয়তো অন্যবারের তুলনায় স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করা যাবে। কিন্তু ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথেই হতাশ হলাম। দেখলাম বেশির ভাগ মানুষই নিজ নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় পশু জবাই করছে।
কেনো সবাই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গা ব্যবহার করছেন না? তারা কিকী সবাই অসচেতন আর অশিক্ষিত? পরিবেশের কথাটা কি কেউ চিন্তা করেন না? তাদের সন্তানদের কথাও কি তারা ভাবেন না? তারা পরিবারের কাছ থেকে কী শিখছে? এমন অনেক প্রশ্ন মাথায় নিয়ে বাসায় চলে আসি।
তাহলে কোথায় সেই উদ্যোগ? প্রশাসন তো ব্যবস্থা করেছিল। নগরবাসী তো সেই উদ্যোগকে ভণ্ডুল করে দিল। তাহলে কথায় কথায় সরকারকে গালাগালি কেনো?
এটা গেলো সারাদিনের বাস্তব চিত্র। ঘরে ফিরে ফেইসবুক খুলে দেখি, পথের পাশের রক্তাক্ত দৃশ্য ভার্চুয়্যালি হাজির হয়েছে টাইমলাইনে। এই বীভৎসতা চোখ বন্ধ করলেও দেখা যায়। মাথা থেকে এসব স্মৃতি তাড়াতে ঘুমাতে যাই। ঘুমের ভেতরেও স্বপ্নে রক্তাক্ত দৃশ্যগুলো তাড়া করতে থাকে।