এরপর অনলাইন বিভিন্ন পত্রিকার দেখা মেলে। শুরু হয় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখা।
পত্রিকা ও অনলাইনের সংবাদগুলো দেখে মনে হতো, আমি কবে এমন করে লিখতে পারব। লেখালেখি শুরু হলো দশম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকে।
আমার এক মামা সাংবাদিক। কাজ করেন একটি অনলাইন পত্রিকায়। মামাকে বললাম, আমারও অনেক ইচ্ছা সাংবাদিকতা করার। সেই থেকেই শুরু।
মামাকে সংবাদের জন্য নানান এলাকায় যেতেন। সঙ্গে থাকতাম আমিও।
কীভাবে মানুষের সাথে কথা বলতে হয় বা সংবাদ লিখতে হয়, তা হাতে কলমে শিখেছি সেই থেকেই।
কোন ঘটনা ঘটলে মামা আমাকে ক্যামেরা দিয়ে বলতেন, ‘যা ছবি তুলে নিয়ে আয়।’ প্রথম প্রথম যেতে একটু সংকোচ হতো। ধীরে ধীরে কেটে গেছে সংকোচ।
শুধু খবর সংগ্রহে নয়, মামার সঙ্গে ঘুরতে গেছি কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন।
তবে লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু যে এসব করেছি তা নয়। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফয়াফলও করি এরমধ্যে। তাই বাড়ি থেকেও কোন বাধা ছিল না। বরং তারা আমাকে প্রেরণা দিয়েছেন।
এরপর পরিচয় হয় হ্যালোর সঙ্গে। শুরু হয় নতুন যাত্রা। অনেক শিখেছি এখান থেকে।
যে কটা দিন সাংবাদিকতার সঙ্গে আছি, এতটুকু বুঝতে পেরেছি এই পেশাটা অন্যকে, বিশেষ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যকে সাহায্য করার জন্য।
মামা বলেন, ‘একটা মানুষ যখন নির্যাতিত হয়েও কারও সাহায্য পায় না তখন তা একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ন্যায় বিচার পেতে পারেন।’
সাংবাদিকের কলমের শক্তি অনেক। সাংবাদিকতা করতে চাই সারা জীবন। কেমন একটা আত্মিক টান তৈরি হয়েছে কলম, কি-বোর্ড আর ক্যামেরার সঙ্গে।