স্বপ্নপূরণে হ্যালো

দিনমজুর বাবা আর গৃহকর্মী মা, ইচ্ছে থাকলেও আমাকে একটি ভাল মোবাইলসেট কিনে দিতে পারেননি। শেষে নিজেই টাকা জমাতে শুরু করলাম। সেই টাকার সাথে বাবার দেওয়া কিছু টাকা জোড়া দিয়ে পুরাতন একটি মোবাইল কিনে ফেললাম। সেটা দিয়েই শুরু হয় ইন্টারনেটের সাথে যোগাযোগ।
স্বপ্নপূরণে হ্যালো

এরপরে টিফিনের টাকা দিয়ে ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট চালাতে শুরু করি। সেটাও খুব কম সময়ের জন্য। ফেইসবুক ফ্রি হওয়ার পরে সেখানে একটি নিউজ অ্যাকাউন্ট খুলি। তারপরে স্থানীয় সব সংবাদ সেখানে লিখতাম। অনেকেই সেটা পছন্দ করেছিল।

ফেইসবুকেই একদিন হ্যালোর ফেইসবুক সাইটটি চোখে পড়ল। সেখানে প্রকাশিত নিউজের জন্য, বিশেষ করে সেগুলো শিশুরা লিখেছে সেই কারণেই হ্যালোর সাইটটি আমার প্রিয় জায়গা হয়ে উঠল। 

বার বার হ্যালোর লেখাগুলি পড়তাম আর স্বপ্ন দেখতাম আমিও একদিন হ্যালোতে লিখবো। ততোদিনে ফেইসবুকে সংবাদ লেখার এক বছরের বেশি সময় পার করে ফেলেছি। হ্যালোতে যারা লেখে তাদের কয়েকজনের সাথে আলাপও হয়ে যায়।

কীভাবে লিখব সেই ভাবনা তখন আমার মাথায়। একজন শুভাকাঙ্ক্ষীও পেয়ে গেলাম, যিনি হ্যালোর সাথে যোগাযোগ করার পথ বাৎলে দিলেন। হ্যালো ডেস্ক থেকে পরামর্শ নিয়ে যে লেখাটি পাঠালাম, ‘আমার জীবনের চড়াই উৎরাই’ শিরোনামে সেটি ছাপান হলো। আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।

এখন আমার স্বপ্ন, একদিন নামকরা সাংবাদিক হব। বাবা-মাকে তাদের জীবনের লড়াই থেকে খানিক বিশ্রাম দেবো। এই স্বপ্নে শক্তি যোগায় হ্যালোতে আমার প্রকাশিত লেখাগুলো। হ্যালোর পঞ্চম জন্মবর্ষে আমার অনেক ভালোবাসা পৌঁছে দিতেই আজকের এই লেখা। শিশুদের স্বাধীন মত প্রকাশের মঞ্চ হয়ে মেলাদিন বেঁচে থাক হ্যালো।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com