সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলতে না পারলেও রক্ষামন্ত্রীর গল্প ও নৈশভোজের সুযোগ পেয়েছি।
দিল্লীর ময়েটস হোটেলে তার সাথে দেখা হয়। সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয় আমার।
ভারত রক্ষামন্ত্রী মনহর পারিকর বলেন, “আমার খুবই ভালো লাগছে ১১টি দেশ থেকে আসা এত জন উত্তরাধিকারী দেখে।
“আমার বিশ্বাস তারা দেশের অন্যান্য ছেলেমেয়েদের থেকে আলাদা। তারা যেন তাদের দেশের নাম এবং পতাকা উজ্জ্বল করতে পারে সেই কামনাই করি।”
বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ কয়েক মাস আগে আমি তোমাদের দেশ সফরে গিয়েছিলাম। বেশ সুন্দর দেশ। বাংলাদেশের মতো একটি বন্ধুপরায়ণ দেশের অংশ গ্রহন দেখে ভালো লাগছে। বাংলাদেশকে তোমরা যারা প্রতিনিধিত্ব করছ তাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইল।”
শিশু সাংবাদিকতা করি শুনে তিনি বললেন, “প্রত্যেকটি মানুষের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন ধর এখানে তোমরা সংখ্যায় বেশ কয়েকজন এসেছ। কিন্তু তুমি যেভাবে পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার সুযোগ করে নিয়েছ এটি কিন্তু সাহসের ব্যাপার। আমি যতটুকু বুঝতে পারি তুমি এভাবে কথা বলে অভ্যস্ত। এর মূল কারণ তোমার সাংবাদিকতার চর্চা। তোমাকে হিন্দিতে অনর্গল কথা বলতে দেখে অবাক হলাম। এগিয়ে যাও। ধন্যবাদ তোমাকে।”
তাকেও ধন্যবাদ দিয়ে কথা শেষ করলাম। বেশি প্রশ্ন করার মত অবস্থা ছিল না। কিন্তু যতটুকু পেরেছি বলেছি। তখন উপলব্ধি হয়েছে, যেখানে আমার বাকি বন্ধুরা ছবি তোলাকেই মুখ্য বিষয় মনে করে, সেখানে আজ আমি এমন মানুষদের সাথে কথা বলে তাদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। সাংবাদিকতা না করলে হয়তো এমন কথা চিন্তাতেই আসত না।