ঢাকায় হয়তো তেমন শীত নেই। অন্তত আমরা যারা ইট সিমেন্টের দেওয়াল দেওয়া ঘরে থাকি তারা শীতের আবেশ পাই না।
কিন্তু একবার ভাবুন তো যে মানুষগুলো এই শীত কুয়াশা আর বাতাসের রাতে রাস্তায় ঘুমায় তাদের কষ্ট কতটা। ঠাণ্ডা কম থাকাটাকে তো আমার শাপে বর মনে হচ্ছে। অন্তত অসহায় দুস্থ মানুষগুলোকে শীতে তেমন কষ্ট পেতে হবে না।
কদিন আগে এমন কয়েক জন শিশুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ফুটপাথে। এই দুরন্ত শিশুদের দুরন্তপনাকে কিন্তু এই শীত মহাশয় আটকে রাখতে পারেননি। হৈচৈ করে ফুটপাথটাকে আনন্দময় করে তুলেছে।
এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর। ওর নাম রমজান।
ও বলে, “আমার মা বাবা কেউ নেই। ভাই বোন আছে কিনা তাও জানি না। আমি রাস্তাতেই থাকি।”
শীতের কথা জিজ্ঞেস করতেই ও বলল, “রাস্তায় থাকি শীতে তো কষ্ট হবেই। সবাই মিলে আগুন জ্বালিয়ে বসে থাকি।”
রমজানের স্কুলে পড়তে ইচ্ছে করে। কিন্তু কে ওকে স্কুলে পড়াবে? ও তো খেতেই পায় না।
রমজান জানায়, মানুষের কাছে চেয়ে খাবারের টাকা জোগাড় করে ও। অনেকেই দেয়, অনেকেই দেয় না।
একবার ভাবুন তো আপনার আট নয় বছরের সন্তানটি শীতের রাতে রাস্তায় শুয়ে আছে। রমজানের মতো এমন হাজারও শিশু রমজানের মতো রাস্তায় থাকে। এত অসহায় শিশু চারপাশে একজনের পক্ষে বা কয়েক জনের পক্ষে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি।