এই শিশুদের ঈদ কেমন হয় তা আমরা জানি না। কখনও খোঁজ নেওয়ার চেষ্টাও করি না।
মাগুরা জেলার এমন কয়েক জন শিশুর সঙ্গে আমার কথা হয় সেদিন।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবারের জন্যও অন্যের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়। একটু সেমাই খেতে পারে না। পোলাও-মাংস খাওয়ার কথা তো অনেক দূরের বিষয়। একটু মাংসের আশায় ঈদের দিন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে। অনেকেই তাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। এভাবেই কেটে যায় ওদের ঈদ।
এদের মধ্যে একজনের নাম শান্ত। ওর বয়স আট বছর। ওর ঈদে নতুন জামা পরতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু কিনতে পারেনি বলে মন খারাপ হয়েছে।
ও বলে, "আমার মন চায় মাংস খেতে। কিন্তু চাল কিনতেই সব টাকা শেষ হয়ে যায়।"
ছোট থেকেই শুনে এসেছি ধনী-গরিব সবার উৎসব ঈদ। তবে এখন দেখছি উল্টো। ঈদ যেন শুধু ধনীদের জন্য!
ঈদের আনন্দের মধ্যে ধনী-গরিবের স্পষ্ট ব্যবধান আমাদের সমাজে। কেউ একটি জামার জন্য ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে না, আবার কেউ দামি জামা গায়ে দিয়ে ঈদের আনন্দ লুটে নেয়।
অনেক পরিবার আছে ঈদের দিন ভালো কিছু খেতে পারে না। দরিদ্র শিশুদের সারা বছরও একটি নতুন পোশাক জোটে না। ছেড়া জামা পরেই ঈদ কাটে ওদের।
আমরা সবাই যদি ঈদের আনন্দটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতাম তাহলে কত ভালো হতো। এই একটা দিন অন্তত সবাই একটু ভালো মন্দ খেয়ে আনন্দ করতে পারত।