এক সময় লেখালেখি শুরু করি। নিজের লেখায় তুলে ধরি সমাজের শোষিত, নিপীড়িত মানুষের জীবন কাহিনী। আমি ঘুরে বেড়াই পথশিশুদের সঙ্গে। গল্প খুঁজে পাই ওদের মাঝে।
মাঝে মাঝে স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনে আমার লেখা প্রকাশিত হতো। ২০১৩ সালে প্রথম আমার লেখা ছাপানো হয়।
ম্যাগাজিনটি নিয়মিত পড়তাম। ছোটদের লেখা ছাপানো হতো। একদিন শখের বশেই লেখা পাঠিয়ে দেই তাদের কাছে। পরের সংখ্যায় আমার লেখা ছাপা হয়। আমি তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। যাইহোক সম্পাদক আমার সঙ্গে নিজেই কথা বললেন।
তিনি বললেন, "তুমি তো খুব ভালো লেখ।"
এরপর থেকে তিনি প্রতি সংখ্যাতেই আমার লেখা আশা করতেন।
আমার কবিতা ছাপা হওয়ার পর মা খুব খুশি হয়েছিলেন। প্রথম ছাপা হওয়া কবিতা তাকে নিয়ে লেখা বলেই হয়তো অনেক বেশিই খুশি হয়েছিলেন।
পাড়া প্রতিবেশি বন্ধুরাও আমার লেখার খুব প্রশংসা করত। এরপর আরও অনেক ম্যাগাজিনেই আমার লেখা ছাপা হতে থাকে।
এক সময় প্রচুর সাড়া পেতে থাকি। সবার উৎসাহ আর ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলি সাহিত্যের জগতে। এখন পর্যন্ত অনেকগুলো কবিতা জমেছে। ভেবেছি একটি বই ছাপাবো। নামও ঠিক করে ফেলেছি। আমার বইয়ের নাম হবে, 'শেষ চিহ্ন।'
কবিতার ভাষায় জীবনের আনন্দ উপভোগ করার মজা বেশি। মনের মাধুরী দিয়ে কথাগুলো সাহিত্যের মাঝে লুকিয়ে রাখতে পারি। আর এখন আমি সাহিত্যের মাঝেই নিজেকে গড়ে তুলতে চাই, সাহিত্যের মাঝেই পরিচয় তুলে ধরতে চাই।