অবসরের সঙ্গী হ্যালো 

পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। আর তাই হ্যালোতে যোগ দিয়েছি তাদের কথা তুলে ধরতে।  

শিশুদের সঙ্গে কাজ করতে করতে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা কখনোই কাউকে বলা হয়নি। আজ আমার না বলা কথাগুলো সবাইকে জানাতে লিখতে বসলাম।

জীবনে আমার প্রথম সাংবাদিকতার শুরু হ্যালোর মাধ্যমে। ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল থেকে এখানে কাজ শুরু করি। লিখতে লিখতে পঞ্চাশটিরও বেশি সংবাদ ছাপানো হয়েছে হ্যালোতে। 

পড়ালেখার ফাঁকে অল্প সময়ের মধ্যেই খবর খুঁজে পেতে যার সঙ্গে কথা বলা দরকার তার কাছে গেছি। পরামর্শ নিয়েছি তাদের। লেখা ভালো হলে ছাপানো হতো যখন তখন আমার সব কষ্ট উবে যেত। তৃপ্তি, সুখ আর আনন্দে ভরে উঠত আমার মন।

হ্যালো আমাকে দিয়েছে সাহস আর স্বাধীনতা। শিখিয়েছে কি করে পথের শিশুদের সঙ্গে মিশে যাওয়া যায়। শিখিয়েছে বিশিষ্ট জনের সাক্ষাতকার নেওয়ার কৌশল। এছাড়া শিখেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। বলা যায় হ্যালো আমার বিবেক জাগ্রত করেছে। বাড়িয়েছে আমার দেখার চোখ। 

কয়েক দিন আগের কথা সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিলাম একটা অনুষ্ঠান থেকে। আসার সময় দেখলাম মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলছে। গুটি কয়েক শ্রমিক একটি ভ্যানে করে ফ্লাইওভার নির্মাণের সরঞ্জামাদি নিয়ে যাচ্ছে। ওরা সংখ্যায় কম ছিল বলে আমি ওদের সঙ্গে হাত লাগালাম। আমি তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি দেখে তাদের অনেকেই অবাক হলেন। কেউ উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করলেন। 

এই যে খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে খুব সহজে মিশে যেতে পারি এটাও শিখিয়েছে হ্যালো।

সেদিন যখন আমি শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করার সময় ভাবলাম এই সেতু তো আমার দেশের। এটা তো আমারও কাজ। লাগাই না হাত ওদের সঙ্গে। দেশটা তো আমারই। এই যে ভাবনা এটা তৈরির পেছনে কাজ করেছে সাংবাদিকতার শিক্ষা।

অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এখন আমি হ্যালোতে নিয়মতি লেখালেখি করি। এতো দিনের পথ চলায় হ্যালো হয়ে উঠেছে আমার বন্ধু, অবসরের সঙ্গী। 

Related Stories

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com