ছবিটা দেখার পর মনটা যেমন খারাপ হল। অবাকও হয়ে গেলাম। তার পাশেই অনেক পুলিশ বসে আছেন। সবাই দেখছেন ঘটনাটি। কিন্তু কেউ কিছুই বলছেন না।
দেখলাম ছবিটি ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে তোলা হয়েছে। উদ্যানের লেকটির পাশেই বাঁধানো জায়গায় বসে ছিলেন পুলিশরা।
সেখানে অনেক ছবি ছিল। আমি সবগুলো ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম। বড় করে নামফলক দেখে নামও বের করতে চেষ্টা করলাম।
ছবিগুলো দেখতে দেখতে আমার মনে জন্ম নিল অনেক প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্নটা হল তারা কি শিশুটিকে মারধর করছেন? ছবিগুলো দেখে মনেই হচ্ছে শিশুটিকে মারা হচ্ছে কিন্তু আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হল। তাই ভাবলাম হয়তো মারছেন না। কিন্তু নাই যদি মারবেন তাহলে শিশুটি কাঁদছে কেন?
এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পুলিশরাই দিতে পারবেন। হয়তো উত্তর আসবে শিশুটি চুরি করেছিল কিংবা বেয়াদবি করেছিল। তাই তাকে মারা হয়েছে। আমার কথা হল শিশুটি যাই করুক না কেন তার জন্য কি মারধর করতে হবে? কিংবা এভাবে মুখের কাছে জুতা ধরতে হবে?
শুনেছি পুলিশ আমাদের রক্ষক। তাহলে পুলিশের এমন আচরণকে আমরা কি বলতে পারি। অন্য পুলিশরাও তখন দর্শক হয়ে দেখছিলেন। কেন? তাদের কি একটু মায়া হল না? আর চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রচুর মানুষ থাকে। তারা কেউ ঘটনাটি দেখল না কেন? কেউ কেন বাধা দিল না?
এমন অনেক প্রশ্ন আমার মনে ভিড় করছে। কিন্তু উত্তর নেই। জানিনা কখনও উত্তর মিলবে কিনা। প্রতিদিনই পত্রিকায় শিশু নির্যাতনের খবর পড়া হয়। আমার মনেও জন্ম নেয় শত প্রশ্ন। উত্তর মেলে না। প্রশ্নগুলো থেকেই যায়। আর যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের হাতে এমন ঘটনা ঘটে তখন শিউরে উঠতে হয়। ভয় হয় শিশুদের জন্য। মনে হয় বাংলাদেশ কি বাসযোগ্য হবে না? সুদিন কি ফিরবে না?